পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ: বাঙালি হয়ে পহেলা বৈশাখের নাম শোনেননি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। পহেলা বৈশাখ বাঙালির জাতীয় জীবনে গুরুত্ব বহন করে। জাতীয় জীবনের পাশাপাশি পরীক্ষায় পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজ আমরা অনুচ্ছেদ টি সম্পর্কে আলোচনা করব।

পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ
পহেলা বৈশাখ বাংলা পঞ্জিকা বৈশাখ মাসের প্রথম তারিখ। এই দিনটি বাঙালিদের কাছে বাংলা নববর্ষ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এই দিনটি নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশের প্রতি বছর14 ই এপ্রিল নববর্ষ উদযাপন করা হয়। বাংলা একাডেমি কর্তৃক আধুনিক বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্ধারিত হয়েছে। আধুনিক নববর্ষ উদযাপন প্রথম শুরু হয় 1917 সালে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সেই বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর 1938 সালেও একই কর্মকাণ্ড উল্লেখ পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় তখন থেকেই আধুনিক নববর্ষ এর যাত্রা শুরু। তবে নববর্ষ উদযাপন এর ইতিহাস বেশ পুরনো। বাঙালিরা এই দিনে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করেন। তারা পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশ খেয়ে দিন শুরু করে। ব্যবসায়ীরা নতুন হিসেবের খাতা তৈরি করে। যা হালখাতা নামে পরিচিত। বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা। মেলাতে নানারকম শিল্প সামগ্রী দোকান থাকে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইউনিট, বাংলা একাডেমি প্রভৃতি পহেলা বৈশাখে নানারকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ঢাকার রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ, সোনারগাঁয়ে ব্যতিক্রমী বউ মেলা, হালখাতা, ঘোড়ামেলা, চট্টগ্রামে বর্ষবরণ, পার্বত্য জেলায় ও আদিবাসীদের বর্ষবরণ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান পহেলা বৈশাখে হয়। এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অঙ্গ সংগঠন পহেলা বৈশাখে নানারকম উৎসবের আয়োজন করে। পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশ বৈশিষ্ট্য এর সাথে একীভূত। তাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ দিনটি উদযাপন করার চেষ্টা করে। পহেলা বৈশাখ বাঙালির জাতীয় জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে।
আশা করি আমরা পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ বুঝতে পেরেছি। অনুচ্ছেদ সম্পর্কে যেকোনো মন্তব্য আমাদের জানাতে ভুলবেন না। আমাদের ওয়েবসাইটে এমন অনেক ধরনের শিক্ষামূলক তথ্য আপনারা পাবেন। এজন্য আমাদের সাথে থাকবেন।