সাব্জেক্ট রিভিউ: মনোবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান কি? উচ্চশিক্ষা, জব

একটি সুন্দর জন্মের জন্য মনোবিজ্ঞান প্রয়োজন। আবার সুন্দর মৃত্যুর জন্যও মনোবিজ্ঞান প্রয়োজন। মূলকথা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মনোবিজ্ঞান প্রয়োজন। তাহলে মনোবিজ্ঞান কি? আমরা মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে না জানার কারণে মনোবিজ্ঞান সাবজেক্টকে মধ্যম বা নিচু শ্রেণীর সাবজেক্ট মনে করি। আমরা হতাশায় ভুগি। তাই আমরা জানবো মনোবিজ্ঞান কি। আজ আমদের রিভিউ এর বিষয়, মনোবিজ্ঞান সাব্জেক্ট রিভিউ

তার আগে কিছু কথা:

একটি কথা সব সময় বলি, যে কোন সাবজেক্টে যদি তুমি কঠোর পরিশ্রম করতে পারো তাহলে সফলতা আসবে। কারণ যে কোন সাবজেক্টে ভবিষ্যৎ রয়েছে বলেই সেই সাবজেক্ট টি ভার্সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে ধরো তুমি খুব ভালো একটি সাবজেক্ট পেয়েছো কিন্তু তোমার পরিশ্রম নেই তাহলে তোমার ভাল সাবজেক্টে তোমার কিছুই হবে না। পরিশ্রমই সৌভাগ্যের প্রসূতি এটি  শুধু  শুধু সত্য নয় বরং চরম বাস্তবতা। অনেকেই ভালো সাবজেক্ট পেয়ে ভাবে আমি সব পেয়ে গেছি কিন্তু পরিশ্রম না করলে তুমি কিছুই পাবে না। তাই তোমার সাফল্যের জন্য সাবজেক্ট এর চেয়ে তোমার পরিশ্রমই মূল চাবিকাঠি। আমরা মূলত সাবজেক্ট রিভিউ করি তোমাদের চেষ্টাকে একটু সহজ করতে। কিন্তু আমাদের পরামর্শ থাকবে যেন তোমরা সঠিক সাবজেক্ট চয়েজ করে পরিশ্রম করার মাধ্যমে এবং জানার মাধ্যমে তোমার সাফল্যে পৌছাও।

মনোবিজ্ঞান কিঃ

মনোবিজ্ঞান হলো মনের বিজ্ঞানPsychology শব্দটি প্রাচীন শব্দ  psyche (আত্ন) এবং Logos (জ্ঞান) থেকে এসেছে। শব্দ দুটি গ্রীক শব্দ।

১৮৭৯ সালে উইলিয়াম হেল্ড মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য একটি গবেষণাগার স্থাপন করেন। এই গবেষণাগার টিকেই প্রথম বিজ্ঞানসম্মত গবেষণাগার হিসেবে স্থান পায়। এজন্য ১৮৭৯ সালকে মনোবিজ্ঞানের “জন্মদিন” বলা হয়। আর উইলিয়াম উন্ডকে মনোবিজ্ঞানের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়।

তাহলে মনোবিজ্ঞান কি? এ সম্পর্কে আশাকরি আপনাদের আর কোন সমস্যা নেই।

তাহলে মনোবিজ্ঞানের জনক কে? এর সহজ সরল উত্তর হচ্ছে, উইলিয়াম উন্ড।

মনোবিজ্ঞানের আধুনিক সংজ্ঞা কি?

ওয়াইজ এবং স্কোপলার এর মতে, “মানুষ ও প্রাণীর আচরণ সম্বন্ধনীয় বিজ্ঞান কে মনোবিজ্ঞান বলে।“

 ক্রাইডার, গোথালস ও সলোমন এর মতে, “মনোবিজ্ঞাঙ্কে আচরন ও মানসিক প্রক্রিয়ার অনুধ্যান হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে।“

মনোবিজ্ঞানের বিভিন্ন সংজ্ঞা থেকে আমরা বলতে পারি, “মনোবিজ্ঞান হলো এমন একটি বিজ্ঞান যা মানুষ ও প্রাণীর আচরণ এবং মানসিক প্রক্রিয়া সম্বন্ধে আলোচনা করে।“

তাহলে বলুন তো মনোবিজ্ঞান কোন ধরনের বিজ্ঞান?

সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে মনোবিজ্ঞান বলতে আমরা বুঝি মনোবিজ্ঞানি মনে হয় মনের কথা বলে দিবে। কিন্তু আমরা বুঝলাম, না, আসলে তা নয়। মনোবিজ্ঞান মানুষ ও প্রাণীর আচরণ ও মন নিয়ে আলোচনা করে।

মনোবিজ্ঞান ও জীবন:

এখন আমরা মনোবিজ্ঞানের চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষইয়বস্তু জানবো(মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু)।

১।আচরণ

২।মানুষ ও প্রাণীর মানসিক প্রক্রিয়া

৩।মানুষ ও প্রাণী

৮।বিজ্ঞান

১।আচরণঃ

আচরণ বলতে মানুষ ও প্রাণীর আচরণকেই বুঝায়। উদ্দীপকের প্রতি প্রতিক্রিয়া করা মানুষ ও প্রাণির অন্যতম বৈশিষ্ট। আর এই প্রতিক্রিয়ার  সামগ্রিকতাই হচ্ছে আচরণ। এখন প্রশ্ন হতে পারে আচরণ জেনে আমরা কি করবো? হ্যা, অনেক কিছুই করবো। কারণ আচরণ গবেষ্ণাগারে পরিমাপ করা যায়। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক, এক ব্যক্তি পেপারে ২০ লক্ষ টাকার লটারি জিতলো। তাহলে তার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? সে আনন্দে চিৎকার করে উঠবে ও সকলকে জানিয়ে দিবে যে সে লটারি জিতেছে। এই আনন্দময় আচরণের জন্য তার শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটেছে বিশেষ করে তার রক্তচাপ বেড়ে গেছে ও স্নায়ুতন্ত্র অধিক সক্রিয় হয়েছে। অন্যদিকে বাইরে থেকে তার আচরণে যেমন কথা বলা, চাল-চলনেও আনন্দমইয়তা বিরাজ করছে । তার এই প্রতিক্রিয়ার সমগ্র রূপই হলো আচরণ। এটা আমরা সবাই ই ব্জহি কিন্তু যখন এই আচরণকে আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে আলোচনা ও গবেষণাগারে পরীক্ষা করবো তখন আমরা তাকে মনোবিজ্ঞান বলবো। আশা করি আমি মনবিজ্ঞান কি তা বুঝাতে পেরেছি।

২। মানসিক প্রক্রিয়াঃ

মানসিক প্রক্রিয়া বলতে আবেগ, বিশ্বাস, প্রেষণা, স্মৃতি ইত্যাদিকে বুঝায়। একটু আগে আচরণকে আমরা বাইরে থেকে দেখেছিলাম তাইনা! কিন্তু মানসিক প্রক্রিয়াকে কিন্তু এভাবে দেখা যাবে না। কি একতা সমস্যা তাইনা? আচ্ছা সমস্যা দূর করার জন্য আমরা আবার সেই লটারির উদাহরণে ফিরে যাই। ধরলাম সে লটারি জেতার পর টাকা হাতে পেয়েছে। এখন সে ভাবছে কিভাবে সে তার এই টাকা ব্যয় করবে। সে চিন্তা করলো মানুষের সেবায় তার এই টাকা ব্যয় করবে। সে একটি হাসপাতাল তৈরি করবে। এ চিন্তা করার সাথে সাথে সে চিন্তার জগতে চলে গেল। সুন্দর একটি হাসপাতাল তার চোখের সামনে ভেসে উঠলো। সেখানে শুধু দেশী নয় বিদেশী চিকিৎসকরা সেবায় নিয়োজিত। হঠৎ মেঘের ডাকে  সে তার কল্পনার জগত থেকে ফিরে আসলো। সে যে এই কল্পনার জগতে ছিলো, এটিই আসলে মানসিক ক্রিয়া। মানসিক ক্রিয়াকে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ব্যাখ্যার জন্য মনোবিজ্ঞানীগণ নানা রকম পদ্ধতি আবিষ্কার করছে।

৩। মানুষ ও প্রাণীঃ

মনোবিজ্ঞান মূলত মানুষ ও প্রাণীর মানসিক এবং আচরণ নিয়ে কাজ করে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে মানুষের উপর অনধ্যান সম্ভব হয় না, সে সব ক্ষেত্রে প্রাণীর উপর (নিন্মতর প্রাণীর) উপর অনুধ্যান করা হয়ে থাকে। তাই মনোবিজ্ঞানে মানুষ ও প্রাণী উভয় কে নিয়ে আলোচনা করা হয়।

৪। বিজ্ঞানঃ

পরীক্ষা -নিরীক্ষার মাধ্যমে আমরা যে জ্ঞান পাই তা হলো বিজ্ঞান। মনোবিজ্ঞান মানুষ ও প্রাণীর উপর যে গবেষণা করে তা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে করে। মনোবিজ্ঞান বিজ্ঞানের নীতিমালা মেনে মানুষ ও প্রাণীর আচরণ অনুধ্যান করে। তাই মনোবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলা হয়। অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে মনোবিজ্ঞান কি বিজ্ঞান? অনেকে মনে করে যেহেতু নামের শেষে বিজ্ঞান আছে তাই মনে হয় বিজ্ঞান। কিন্তু আসলে তা নয়। যে জ্ঞানই বিজ্ঞানের নীতিমালা মেনে চলবে তাই বিজ্ঞান। সুতরাং মনোবিজ্ঞান যে বিজ্ঞান এ নিয়ে আশা করি কোনো সংশয় নেই।

কোথায় কোথায় মনোবিজ্ঞানে অনার্স পড়ানো হয়?

পাবলিক ইউনিভার্সিটি: যেমন

ঢাকা ইউনিভার্সিটি

জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি।

কিছু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, যেমন

ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি

ব্রাক ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি।

কিছু সরকারি কলেজ: যেমন

ঢাকা কলেজ

ইডেন মহিলা কলেজ

তিতুমীর কলেজ

চট্টগ্রাম কলেজ

বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ ইত্যাদি।

সব ই তো বুঝলাম, কিন্তু মনোবিজ্ঞান কোথায় কোথায় কাজে লাগে? সুধুই কি পাবনা? না না। শুধু পাবনা নয়। তাহলে কোথায়? হ্যাঁ, এখন আমরা জানবো-

মনোবিজ্ঞানের প্রধান শাখা:

১। সাধারণ মনোবিজ্ঞান

২। পরীক্ষণ মনোবিজ্ঞান

৩। চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান

৪। শিক্ষা মনোবিজ্ঞান

৫। শিল্প মনোবিজ্ঞান

৬। বিকাশ মনোবিজ্ঞান

৭। সমাজ মনোবিজ্ঞান

৮। শিশু মনোবিজ্ঞান

৯। উপদেশ মনোবিজ্ঞান

১০। শারীরবৃত্তীয় মনোবিজ্ঞান

১১। প্রকৌশল মনোবিজ্ঞান

১২। অস্বভাব মনোবিজ্ঞান

কি বলেন এতো শাখা! জি, হ্যাঁ এতো শাখা। আসলে আমরা মনোবিজ্ঞান বলতে শুধু ভাবি এটা মনে হইয় শুধু পাগলের চিকিৎসা করে। কিন্তু আসলে তেমনটা নয়। মনোবিজ্ঞান আমাদের সমগ্র জীবন ব্যাপী। শুধু আমাদের জীবন? না, আমাদের সমাজ জীবনেও। আমাদের সকলের উচিত মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে জানা।

তো, উপরে যে এত গুলো শাখা বললেন, এগুলো সম্পর্কে কিছু বলেন। না, আজ শাখা নিয়ে বিস্তারিত বল্ছি না। অন্য একদিন বলা যাবে।

মনোবিজ্ঞান পড়ার যোগ্যতা:

মূলত মনোবিজ্ঞান BSc এর অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং BSc বিভাগে ভর্তি পরীক্ষার জন্য যে যোগ্যতা লাগবে মনোবিজ্ঞান পড়তেও সেই একই যোগ্যতা লাগবে। আর যদি জানতে চান মনোবিজ্ঞানে ভর্তি হওয়ার পরে আপনার কি প্রয়োজন তাহলে বলব, শুধু মনোবিজ্ঞানে পড়ার আগ্রহ লাগবে। বেশি বেশি প্রাক্টিক্যাল ক্লাস গুলো করার মানসিকতা থাকতে হবে। মনোবিজ্ঞান ল্যাব কোনভাবেই মিস করা যাবে না।

মনোবিজ্ঞানে ক্যারিয়ার:

আমরা আগেই জেনেছি মনোবিজ্ঞান কি মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা থেকেই মনোবিজ্ঞানের ক্যারিয়ার সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।

মনোবিজ্ঞান পড়ে কি হওয়া যায়? এটি একটি কমন প্রশ্ন। উপরে এতগুলো শাখার নাম উল্লেখ করলাম। আপনি ইচ্ছা করলেই এর যে কোন শাখায় কাজ করতে পারেন। আপনি চার বছরের অনার্স কোর্স শেষে এমএসসিতে যেকোনো একটি শাখায় পড়ালেখা করতে পারেন। মনোবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে এনজিও প্রতিষ্ঠানে সাইকোলজিস্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে, প্রতিটি হাসপাতালের একজন করে মনোবিজ্ঞানি থাকতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশের মনোবিজ্ঞানিদের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে প্রাইমারি স্কুল গুলোতে। এছাড়া আপনি দক্ষতা প্রাপ্ত হয়ে নিজেই চেম্বার খুলে কাউন্সেলিং করতে পারবেন। এছাড়া মনোবিজ্ঞান সাবজেক্টে পড়লে আপনাকে বিভিন্ন সময়ে বাস্তব ভিত্তিক প্রজেক্ট করতে হবে। যেমন ধরুন, একটি এলাকায় যেয়ে বিভিন্ন ডাটা সংগ্রহ করা এবং তাদের সাথে মেশা। তাদের মনের কথা বোঝার চেষ্টা করা। এতে আপনার ভেতরে নেতৃত্বের গুণাবলী সঞ্চারিত হবে। আপনি খুব ভালোভাবে যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন। এজন্যই সামরিক বাহিনীতে, বিশেষভাবে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা থাকে। কারণ বিভিন্ন সময় তাদের বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। পরিস্থিতির আলোকে যদি তারা খাপ খাওয়াতে না পারে তাহলে দেশের বিপর্যয় আসতে পারে। সুতরাং সামরিক বাহিনীতে আপনার জন্য চাকরির সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি কলেজ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা করার সুযোগ তো আছেই। এছাড়া সরকারি চাকরি এবং বিসিএস এর জন্য আপনি ভালভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবেন কারণ আপনি যথেষ্ট সময় পাবেন। খেলাধুলার ক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানীদের কদর রয়েছে। যেমন ধরুন ক্রিকেট খেলায় একটি দল চাপে রয়েছে। সেই চাপ থেকে কিভাবে বের হয়ে আসা যায় এজন্য মনোবিজ্ঞানীরা কাজ করে। এজন্য রয়েছে স্পোর্টস সাইকোলজি। এছাড়া বড় প্রজেক্ট যেমন কোন বড় ধরনের সেতু, ফ্লাইওভার, বিল্ডিং নির্মাণের আগে মনোবিজ্ঞানীরা শ্রমিকদের মনোবল অক্ষুন্ন রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের বড় বড় টিভি সিরিজ করার আগে মনোবিজ্ঞানীরা তাদের মনোবল কে বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া বিভিন্ন সেক্টরে মনোবিজ্ঞানীদের পদচারণা রয়েছে।

যদি আরো ভালো জানতে চান তাহলে চলে যান কোন এক বড় ভাই অথবা বোন এর কাছে যে কিনা অনার্স তৃতীয় বর্ষ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অথবা ভালো কোন শিক্ষকের কাছে।

মনোবিজ্ঞানের উচ্চশিক্ষা:

মনোবিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষার জন্য যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আপনি দেশে এবং দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। হয়তো বাংলাদেশে মনোবিজ্ঞানের কদরটা তেমন নেই। কিন্তু বাইরের রাষ্ট্রে মনোবিজ্ঞানকে উচ্চতর সাবজেক্ট হিসেবে ধরা হয়। সেখানে যথেষ্ট মূল্যায়ন রয়েছে এবং সবাই মনোবিজ্ঞানীদের সম্মান করে। সুতরাং খুব সহজে আপনি বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে পারবেন। বাইরে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান সাবজেক্ট রয়েছে। সেখানে আপনার জন্য সুযোগ রয়েছে। এর আগে অবশ্যই আপনার উচ্চশিক্ষার জন্য যা যা প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিবেন এবং সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করবেন।

আজ শুধু বলছি মনোবিজ্ঞানকে জানুন, অন্যকে জানান। শুধুমাত্র পাবনার জন্য এই মনোবিজ্ঞান না। মনোবিজ্ঞান আমদের সকলের জন্য। আমরা যদি মনোবিজ্ঞান নিয়ে সচেতন থাকি তাহলে আমরা আমাদের ব্যক্তিজীবন ও সামাজিক জীবন সমর্কে সচেতন থাকতে পারবো। মানুষকে জানতে হলে মানুষের আচরণ সম্পর্কে জানতে হবে। আর মানুষের আচরণ সম্পর্কে জানতে হলে মনবিজ্ঞানের বিকল্প নেই। দৈনন্দিন জীবনে আমরা কত ই না সমস্যার সম্মুখীন হইয়ে থাকি। আমাদের যদি মনোবিজ্ঞানের জ্ঞান থাকে তাহলে খুব সহজেই আমরা এ সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবো। ও আর একটি কথা, শুধু জাগ্রত অবস্থাতেই কিন্তু মনোবিজ্ঞান ক্রিয়াশীল নয়, নিদ্রিত অবস্থাতেও মনোবিজ্ঞান ক্রিয়াশীল। তাই যেখানেই মানসিক ক্রিয়ার প্রকাশ মনোবিজ্ঞান সেখানেই।

এরপরেও যদি আপনার মনে প্রশ্ন থাকে মনোবিজ্ঞান কি? তাহলে আমি আপনাকে প্রশ্ন করব মনোবিজ্ঞান কি?

অন্যান্য বিষয় সাবজেক্ট রিভিউ পেতে ভিজিট করুন এখানে

আমাদের টেকনোলজি, বিসিএস, সাইন্স ইত্যাদি নিউজ পেতে ভিজিট করুন Learning View bd.

1 thought on “সাব্জেক্ট রিভিউ: মনোবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান কি? উচ্চশিক্ষা, জব”

Leave a Comment