সরকারি বীমা কয়টি কি কি- সরকারি বীমা বিস্তারিত

সরকারি বীমা কয়টি কি কি: বাংলাদেশে অনেক বীমা কোম্পানি রয়েছে। তার মধ্যে সরকারি বীমা কয়টি? আমরা কি জানি? অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা। তাই আজকে আমরা আপনাদের জানাব সরকারি বীমা কয়টি কি কি।

সরকারি বীমা করলে সরকার এর দায়বদ্ধতা থাকে। তাই টাকা লস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই আমরা অনেকেই সরকারি বীমা করতে চাই। কিন্তু সরকারি বীমা এর সুবিধা সমূহ আমরা জানিনা। আবার সরকারি বীমা কয়টি ও কি কি তাও জানিনা। তাই আজ আমরা এর পরিপূর্ণ আলোচনা করব। তাই আজকের আমাদের পোস্টের শিরোনাম হচ্ছে সরকারি বীমা কয়টি কি কি।

বাংলাদেশের প্রায় 79 টি বীমা কোম্পানি রয়েছে। যার মধ্যে 33 টি লাইফ বীমা কোম্পানি এবং 46 টি নন-লাইফ বিমাকারী কোম্পানি রয়েছে। লাইফ বীমাকারী কোম্পানির মধ্যে ১টি সরকারী এবং ৩২টি বেসরকারি। নন-লাইফ বীমাকারী কোম্পানির মধ্যে ১টি সরকারী এবং ৪৫টি বেসরকারি। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম সরকারি বীমা দুইটি। আশাকরি সরকারি বীমা কয়টি এই প্রশ্নের অবসান হয়েছে।

এখন আমরা জানবো সরকারি বীমা কি কি। সরকারি বীমা হচ্ছে মোট দুইটি। তা হচ্ছে:

১. জীবন বীমা কর্পোরেশন

২. সাধারণ বীমা কর্পোরেশন

জীবন বীমা কর্পোরেশন

জীবন বীমা কর্পোরেশন সংক্ষেপে জেবিসি বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বীমা কোম্পানি। জীবন বীমা কর্পোরেশন ১৯৭৩ সালের ১৪ মে প্রতিষ্ঠিত হয়। জীবন বীমা কর্পোরেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুল ইসলাম।

১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) ৭৫টি বীমা কোম্পানি ছিল, এরমধ্যে ১০টি স্থানীয়ভাবে নিবন্ধিত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ৯৫নং আদেশ বলে বাংলাদেশের সকল জীবন ও সাধারণ বীমা কোম্পানি জাতীয়করণ করে। এই জাতীয়করণের দ্বারা ৫টি কোম্পানি গঠন হয়; বাংলাদেশ জাতীয় বীমা কর্পোরেশন, তিস্তা বীমা কর্পোরেশন, কর্ণফুলি বীমা কর্পোরেশন, সুরমা জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং রূপসা জীবন বীমা কর্পোরেশন। ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে সুরমা ও রূপসা জীবন বীমা কর্পোরেশন নিয়ে একক ভাবে জীবন বীমা কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা হয়।

জীবন বীমা কর্পোরেশন পনেরো ধরনের জীবন বীমা স্কিমের মাধ্যমে বীমাসেবা বিক্রয় করে আসছে। এগুলো হল

  • আমৃত্যু জীবন বীমা,
  • পলিসির মূল্য পরিশোধ ভিত্তিতে বীমা,
  • শিশু প্রতিরক্ষা বীমা,
  • শিশুদের পলিসির মূল্য পরিশোধভিত্তিক বীমা,
  • পলিসির অনুমিত মূল্য পরিশোধভিত্তিক বীমা,
  • পেনশন স্কিম বীমা,
  • এক দফায় প্রিমিয়াম বীমা,
  • বন্ধক প্রতিরক্ষা বীমা,
  • মেয়াদি গোষ্ঠী বীমা,
  • পলিসির মূল পরিশোধভিত্তিক গোষ্ঠী বীমা,
  • পরিবর্তনশীল হিসাবে পলিসির মূল্য পরিশোধভিত্তিক গোষ্ঠী বীমা,
  • দলগত পেনশন বীমা,
  • গ্রামীণ বীমা,
  • যুগ্ম জীবন বীমা এবং
  • বর্ধিষ্ণু হারে প্রিমিয়াম পরিশোধভিত্তিক বীমা।

জীবনবীমা কর্পোরেশন এর সুবিধাবলী:

Top 10 life insurance company in bangladesh

কিভাবে ঘরে বসে মোবাইলে আয় করবো? অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে

অনলাইন জব করার সেরা ১৫ টি উপায়

১। “বঙ্গবন্ধু সার্বজনীন পেনশন পলিসি (লাভসহ)” একটি মেয়াদী(Endowment) বীমা পলিসি, মেয়াদ শেষে পেনশনে রুপান্তর করা যায়।

২। বীমা গ্রহণকালীণ বয়সসীমা হচ্ছে, সর্বনিম্ন ২০ বছর ও র্সবোচ্চ বয়স ৬০ বছর।

৩। পেনশন প্রাপ্তি শুরুর বয়স হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ বছর।

৪। সর্বনিম্ন বীমা এর পরিমাণ ৫০,০০০.০০ (পঞ্চাশ হাজার টাকা)।

৫. বীমার মেয়াদ সর্বনিম্ন ৫ (পাঁচ) বছর।

৬। সর্বোচ্চ বীমা এর পরিমাণ বীমাগ্রাহকের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী।

৭। বীমার মেয়াদ শেষ হবার পর বোনাসসহ এককালীন টাকা নেয়া যায় অথবা ১০,১৫ অথবা ২০ বছর মেয়াদে মাসিক পেনশন নেওয়ার সুবিধা রয়েছে।

৮। পেনশন প্রদান শুরুর নির্ধারিত তারিখের পূর্বে বীমাগ্রাহকের মৃত্যু হলে, যে নমিনি থাকবে সে বোনাসসহ পূর্ণ বীমা প্রাপ্ত হবে।

৯। মেয়াদপূর্তিতে পেনশনের ৫০% বা ১০০% পর্যন্ত সমর্পণ করা যাবে।

১০। পেনশন শুরুর পর বীমাগ্রাহকের মৃত্যু হলে, অবশিষ্ট সময়ের জন্য নমিনি পেনশন পাবেন।

এছাড়াও রয়েছে আরও অেনেক সুবিধা।

সরকারি বীমা কয়টি কি কি সম্পর্কে আমরা জানলাম। আমরা অন্য একটি সরকারি বীমা নিয়ে জানব।

সাধারণ বীমা কর্পোরেশন:

সাধারণ বীমা কর্পোরেশন বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সাধারণ বা নন-লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ১৯৭৩ সালের ১৪ মে প্রতিষ্ঠিত হয়।

সেবাসমূহ বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় নন-লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান হিসাবে সাধারণ প্রতিষ্ঠানটির মুল বীমা সেবাসমুহ হচ্ছেঃ

  • অগ্নি বীমা
  • নৌ-বীমা
  • মোটরযান বীমা
  • শস্য বীমা
  • অন্যান্য বীমা

এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি এসকল বীমার পুনঃবীমা করে থাকে।

আশা করি আপনারা সবাই আজকের পোস্ট পড়েছেন। সরকারি বীমা কয়টি কি কি তা জেনেছেন। সরকারি বীমা সম্পর্কিত যেকোন প্রশ্ন আমাদের করতে পারেন।

Leave a Comment