কবে থেকে শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম? কারণ হচ্ছে টিকা কার্যক্রম শুরু না হলে কোনভাবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব নয়। তাই টিকা কার্যক্রম নিয়ে অনেকেরই বিভিন্ন প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল।
আগামী জুলাই মাস থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সিনোফার্মের টিকা দেওয়া কার্যক্রম শুরু হবে। এক্ষেত্রে আবাসিক হলগুলোতে থাকা শিক্ষার্থীদের প্রথমে টিকা দেয়া হবে। টিকার পরবর্তী ডোজ দেশে আসলে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে যে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, এমনটি করতে হবে না। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় পত্র এবং আবাসিক হলে থাকার প্রমাণ দেখাতে পারলে টিকা দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন করোনা টিকা নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের তথ্য দ্রুত দিতে বলেছে জবি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্রে জানা যায়, মোট ৩৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২০টি আবাসিক হলের এক লাখ তিন হাজার ১৫২ জন শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্র সহ সকল তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথ্য পাঠানো হয়েছে যারা প্রথম ধাপে টিকার আওতায় আসবে। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট 1 লাখ 31 হাজার শিক্ষার্থীকে প্রথম ধাপে টিকার আওতায় আনা হবে।
এছাড়া দেশে বর্তমানে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি চলছে। আগামী মাসের প্রথম দিকে অর্থাৎ জুলাই মাসের প্রথম দিকে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম প্রায় শেষ দিকে থাকবে। এর পরপরই টিকার বর্তমান মজুদ থেকেই আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
বর্তমানে দেশে উচ্চশিক্ষায় মোট 39 লাখ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে পড়ালেখা করে প্রায় 27 লাখ শিক্ষার্থী। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় পৌনে চার লাখ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রথম ধাপে প্রায় 30 হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী এবং দ্বিতীয় ধাপে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
এই বিভাগের সকল লেখা পড়ুন এখান থেকে
এছাড়া রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দেশে প্রায় বেসরকারি 107 বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থীকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যেহেতু টিকার পরিমাণ খুব বেশি নয় তাই এখনই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ পাঠানো অনেকে দেখা গিয়েছে যে, সবচেয়ে বেশি আবাসিক শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর পরে রয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এক হাজারের উপরে। অন্যান্য বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী সংখ্যা এক হাজারের নিচে।