ওয়েব ডিজাইন কি? কিভাবে ওয়েব ডিজাইনার হওয়া যায়

ওয়েব ডিজাইন

ওয়েব ডিজাইন কি: বর্তমান যুগে আমরা সকলেই অনলাইনে ইনকাম করতে চাই। অনলাইনে ইনকাম করার অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন লেখাতে বলেছি। আজ আপনাদের সামনে এমন একটি মাধ্যম নিয়ে আসবো যার মাধ্যমে আপনি অনেক বেশি পরিমাণ অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। তাছাড়া বর্তমানে এর চাহিদা ব্যাপক। তাহলে চলুন তার নামটা আমরা জেনে নেই। আজ আমরা কথা বলবো ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে। ওয়েব ডিজাইন শিখে কেউ কাজ না করে বসে আছে এমন মানুষ আপনি হয়তো পাবেন না। অথচ ওয়েব ডিজাইন শিখে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়। তবে অবশ্যই আপনাকে দক্ষ হতে হবে।

ওয়েব ডিজাইন কি?

ওয়েব ডিজাইন কি জানার আগে চলুন আমরা জানি ডিজাইন বলতে কী বোঝায়?

ডিজাইন হচ্ছে কোন কিছুর স্ট্রাকচার যেমন আমরা মানুষ আমাদের স্ট্রাকচার রয়েছে। আবার প্রত্যেক প্রাণীরই আলাদা আলাদা গঠন রয়েছে। অর্থাৎ স্ট্রাকচার বা গঠন এর মাধ্যমে আমরা আমাদের ফুটিয়ে তুলি। যেমন আমরা বিভিন্ন ধরনের  পোশাক পড়ি। তেমনই একটি ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে তা হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। ওয়েবসাইট যেন দেখতে সুন্দর হয় এ জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা হচ্ছে ডিজাইন।

ওয়েবসাইটে যেসব বিষয় থাকে যেমন কন্টেন্ট, পেজ, সাইডবার, হেডার, ফুটার ইত্যাদিকে ডিজাইনের মাধ্যমে ভিজিটরদের উপযোগী করে তোলা।

পৃথিবীতে প্রতি মাসে প্রায় 1 মিলিয়ন নতুন ওয়েবসাইট গুগোল এ যুক্ত হয়। তাহলে এই প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের জন্য আলাদা আলাদা ডিজাইন প্রয়োজন হয়। আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের ডিজাইন আলাদা। এই ওয়েব ডিজাইন করার জন্য প্রয়োজন হয় দক্ষ ওয়েব ডিজাইনারের। তাহলে কি পরিমান ওয়েব ডিজাইন আয় এর সুযোগ রয়েছে! আশা করি তা আর আমার বলার প্রয়োজন হবে না। আপনারা বুঝে নিয়েছেন।

ওয়েব ডিজাইন শিখতে কি কি লাগে?

নতুনদের মধ্যে একটি প্রশ্ন হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন শিখতে কি কি লাগে? এখন আমরা জানবো ওয়েব ডিজাইন শিখতে কি কি লাগে?

এইচটিএমএল (Html)

সিএসএস (Css)

বুটস্ট্রাপ (Bootstrap)

জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript)

এইচটিএমএল (Html):

HTML হল হাইপারটেক্সট্ মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ( Hypertext Markup Language). এইচটিএমএল কিছু পেজ, ডকুমেন্টারি ইত্যাদি তৈরি করে যা আমরা ওয়েবসাইটে দেখতে পাই। অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটের মূল কাঠামো প্রদান করে এইচটিএমএল।

এইচটিএমএল কোন প্রোগ্রামিং ভাষা নয়। অনেকেই আমরা এইচটিএমএল কে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে ধরে নেই। কিন্তু তা নয়। যেমন ধরুন, আপনি একটি বাড়ি নির্মাণ করবেন। বাড়ি নির্মাণ করতে আপনার ইট, সিমেন্ট, বালু প্রয়োজন। আপনি এগুলোর মাধ্যমে একটি বাড়ি নির্মাণ শুরু করতে পারেন এবং কাঠামো দিতে পারেন। কিন্তু আপনার বাড়ির ভেতরে কি কি থাকবে? যেমন, বিভিন্ন আসবাবপত্র সহ অনেক কিছু। এছাড়া আপনি বাড়িতে রং করতে পারেন। কিন্তু শুধুমাত্র ইট, সিমেন্ট, বালু এগুলো হচ্ছে এইচটিএমএল এর কাজ। আর বাকি সবকিছু হচ্ছে সিএসএস, বুৎস্ট্রপ, জাভাস্ক্রিপ্ট এসবের কাজ। তাহলে বুঝলাম এইচটিএমএল হচ্ছে বাইরের কাঠামো।

ওয়েব ডিজাইন কি এর পাশাপাশি আরও পড়ুন:

Read More: কিভাবে ঘরে বসে মোবাইলে আয় করবো? অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২১

অনলাইন জব করার সেরা ১৫ টি উপায় জেনে নিন-অনলাইন ইনকাম

গুগল কি? গুগলের ২৫ টি অজানা মজার তথ্য যা আপনার জানা প্রয়োজন

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়

এইচটিএমএল শিখতে কতদিন সময় লাগে?

এইচটিএমএল কঠিন কোনো বিষয় নয়। আপনি যদি ধৈর্য সহকারে 15 থেকে 20 দিন এইচটিএমএল শিখেন তাহলে আপনার শেখা হয়ে যাবে। আসলে পুরোপুরি নয়, আপনার কাজ করার জন্য যেটুকু প্রয়োজন তা হয়ে যাবে। কিন্তু যদি আপনি অনেক বেশি জানতে চান তাহলে আপনার কয়েক মাস লাগতে পারে। ওয়েবসাইট তৈরি কিংবা ওয়েব ডিজাইনের মূলমন্ত্র হচ্ছে এইচটিএমএল।

সিএসএস ( ক্যাসকেডিয়ান স্টাইল সীট ):

একটু আগে যে উদাহরণটা দিয়েছিলাম, আপনি একটি ঘর নির্মাণ করবেন। তাহলে ঘর নির্মাণ করার জন্য ইট, বালু, সিমেন্ট এগুলো ছিল এইচটিএমএল। এখন আপনি চাচ্ছেন আপনার ঘরে বিভিন্ন আসবাবপত্র আনবেন এবং আপনার ঘর সুন্দর করে সাজাবেন। ওয়েবসাইটের এই কাজটি করে সিএসএস। ওয়েব ডিজাইন করতে সিএসএস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েব ডিজাইন এর মূল কাজ মূলত সিএসএস এর মাধ্যমে করা হয়।

ওয়েব ডিজাইন এর বিস্তারিত পাবেন এই ভিডিওতে:

সিএসএস শিখতে কতদিন সময় লাগে?

সিএসএস শিখতে এইচটিএমএল অপেক্ষা বেশি সময় প্রয়োজন হয়। এখানে অনেক কিছু রয়েছে ডিজাইন করার জন্য। অনেক এনিমেশন আপনি পাবেন। মূলত আপনি যখন সিএসএস শিখবেন তখন ওয়েব ডিজাইনের মজা পেয়ে যাবেন। আপনি বুঝতে পারবেন একটি ওয়েবসাইট কিভাবে সিএসএস এর মাধ্যমে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়।

এইচটিএমএল এবং সিএসএস পারলে আপনি ওয়েব ডিজাইনের অনেকটা কভার করতে পারবেন।

বুটস্ট্রাপ:

ওয়েব ডিজাইনে বর্তমানে অহরহ বুটস্ট্রাপ ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে আমরা যে ওয়েবসাইট দেখি তার বেশিরভাগ হচ্ছে ওপেনসোর্স। অর্থাৎ বর্তমানে ওপেনসোর্স খুব বেশি। অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করা হয়েছে তা আমরা দেখতে পারি। অর্থাৎ কোড গুলো দেখতে পারি। এইচটিএমএল সিএসএস এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট স্ট্রাকচার এবং ডিজাইন করতে পারি। কিন্তু আমরা খুব সহজে ডিজাইনের কাজ বিভিন্ন ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে করতে পারি। যেমন জনপ্রিয় একটি ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে বুটস্ট্রাপ। তাহলে ফ্রেমওয়ার্ক কি?

ওয়েব ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে এমন ফ্রেমওয়ার্ক, যা web অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে একটি সাধারণ অবকাঠামো হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

এমনই একটি ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে বুটস্ট্রাপ। বুটস্ট্রাপ এর মাধ্যমে খুব সহজেই বাটন, নেভিগেশন, লেআউট, ফর্ম, টাইপোগ্রাফি সহ বিভিন্ন ধরনের ইন্টারফেস তৈরি করা যায়। তবে বলে রাখা ভালো বুটস্ট্রাপ front-end ডেভলপিং হিসেবে কাজ করে। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে front-end কি?

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য দুইটি অংশের প্রয়োজন। একটি হচ্ছে front-end এবং

অন্যটি হচ্ছে back-end

সুতরাং বুটস্ট্রাপ ব্যবহার করে আমরা খুব সহজেই একটি ওয়েবসাইট বিল্ড আপ করতে পারি। ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণ রেস্পন্সিভ হবে বুটস্ট্রাপ ইউজ করলে। আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না যে কোড লিখতে আপনার একঘন্টা সময় ব্যয় হবে, সেই একই কাজ আপনি পাঁচ মিনিটের মধ্যে বুটস্ট্রাপ এর সাহায্য করতে পারবেন। সুতরাং ওয়েব ডিজাইন এর গুরুত্বপূর্ণ একটি ফিচার হচ্ছে বুটস্ট্রাপ।

আশা করি, ওয়েব ডিজাইন এর বিস্তারিত আমরা জেনেছি। এখন ওয়েব ডিজাইন এর এডভান্স ফিচার নিয়ে আমরা আলোচনা করবো:

জাভাস্ক্রিপ্ট:

জাভাস্ক্রিপ্ট কেন লাগে

বর্তমানে আমরা যে ওয়েবসাইট দেখি এবং যে ওয়েবসাইট গুলো তৈরি করা হচ্ছে সব গুলোর মধ্যেই জাভাস্ক্রিপ্ট রয়েছে। জাভাস্ক্রিপ্ট একটি স্ক্রিপটিং ল্যাঙ্গোয়েজ ব্রাউজারে ওপেন হয়। আপনি এইচটিএমএল, সিএসএস, বুটস্ট্রাপ এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট ডিজাইন করলেন। কিন্তু বিভিন্ন ফাংশন এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আমরা জাভাস্ক্রিট ব্যবহার করি। কিছু কিছু ওয়েবসাইটে ঢোকার পরে দেখবেন কিছু পপআপ উইন্ডো আসবে, সেখানে আপনাকে কিছু ইনফর্মেশন দিতে অথবা ওয়েবসাইটকে সাবস্ক্রাইবার করতে বলা হয়। এইসব কাজগুলা মূলত জাভাস্ক্রিপ্ট এর মাধ্যমে করা হয়।

আপনি কি জানেন বর্তমানে ইন্টারনেটের সবচেয়ে বেশি কোন স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়? এক কথায় উত্তর হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্ট। ওয়েবসাইট দুই প্রকার হতে পারে স্ট্যাটিক এবং ডায়নামিক। বর্তমানে আপনি স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট খুঁজে পাবেন না। আর ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করার মূলমন্ত্র হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্ট। সুতরাং ওয়েব ডিজাইন করার জন্য আপনি ঝটপট জাভাস্ক্রিপ্ট শিখে ফেলবেন।

জাভাস্ক্রিপ্টের একটি ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে রিয়েক্ট জেএস।

রিয়েক্ট জেএস:

রিয়েক্ট জেএস ওয়েব ডিজাইনে ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট এ ব্যবহৃত হয়। আমরা বর্তমানে ফেসবুক প্রায় সবাই ব্যবহার করি। আপনি কি জানেন ফেসবুক কোন ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে? ফেসবুক জাভাস্ক্রিপ্ট ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

রিয়েক্ট কেন ব্যবহার করবো? কারণ হচ্ছে রিয়েক্ট খুব ফাস্ট, খুবই হালকা। অর্থাৎ ওয়েবসাইট ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ফেসবুকে একসাথে কোটি কোটি মানুষ ব্রাউজিং করছে। কিন্তু ফেসবুক ডাউন হচ্ছে না এবং আপনি কোন প্রকার হ্যাং ছাড়া ফেসবুক ব্যবহার করছেন। এর মূলে রয়েছে ফেসবুকের বিশাল ডাটাবেজ এবং react.js। বর্তমান সময়ে আপনি রিয়েক্ট জেএস পারলে, জব এর জন্য কোন চিন্তাই করা লাগবেনা। কারন প্রচুর পরিমাণে ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে এখানে।

সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা বুঝতে পেরেছি যে, ওয়েব ডিজাইন কি এবং শিখতে কি কি লাগে।

  • এইচটিএমএল
  • সিএসএস
  • বুটস্ট্রাপ
  • জাভাস্ক্রিপ্ট
  • রিয়েক্ট জেএস

আমরা অনেকেই কনফিউশন হয়ে যাই, কোনটা আগে শিখব কোনটা পড়ে শিখব? তাদের জন্য বরবো ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য আমি যেই ধাপ গুলো বললাম সেই অনুযায়ী শেখা শুরু করো।

ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার:

ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার

প্রশ্ন এসে যায়, ভাইয়া আপনি ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার জন্য অনেক কথাই বললেন। কিন্তু আমি কেন ওয়েব ডিজাইন শিখব? ওয়েব ডিজাইন কি বা ওয়েব ডিজাইনের ভবিষ্যৎ কি?

আমি প্রথমেই বলেছি বর্তমানে প্রতিদিন হাজার হাজার ওয়েবসাইট গুগলে ইনডেক্স হচ্ছে। তাহলে ওয়েবসাইটগুলো কারা তৈরি করে দিচ্ছে? সবাই তো আর আইটি এক্সপার্ট না। তাহলে এই ওয়েবসাইট গুলো কেউ না কেউ তৈরি করছে। যারা তৈরি করেছে তারা এর বিনিময় উপার্জন করছে। এখন আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, আপনার কি মনে হয় গুগোল খুব তাড়াতাড়ি পৃথিবী থেকে বিদায় নিবে? আপনার কি মনে হয় তথ্যপ্রযুক্তি খুব দ্রুতই পৃথিবী থেকে বিদায় নিবে? আসলে এটা খুব তাড়াতাড়ি সম্ভব নয়। তাহলে ওয়েবসাইট খুব তাড়াতাড়ি বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুতরাং প্রতিদিন আরো বেশি বেশি ওয়েবসাইট গুগলে ইনডেক্স হবে। এই ওয়েবসাইট গুলো কে তৈরি করবে? আমি-আপনি যারা ওয়েব ডিজাইন পারে। তারা ওয়েবসাইটগুলোর ডিজাইন করবে। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে প্রচুর পরিমাণে কাজ পেয়ে যাবেন। এছাড়া আপনি দেশে বসেই বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিতে মোটা অংকের স্যালারি চাকরি করতে পারবেন। তাহলে আপনিই বলুন ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার কেমন? ক্যারিয়ার হিসেবে ওয়েব ডিজাইন হতে পারে আপনার জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

ওয়েব ডিজাইন কাদের জন্য উপযুক্ত?

অনেকের মনেই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় আমিতো কম্পিউটার সাইন্সে পড়ি না। আমিতো এখনো ইউনিভার্সিটিতে পড়ি না। আমিতো সায়েন্সের স্টুডেন্ট না। তাহলে আমি কি ওয়েব ডিজাইনার হতে পারব? আমি কি ওয়েব ডিজাইনকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারব?

উত্তর হচ্ছে কোন সমস্যা নেই। আপনি পারবেন। এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট শেখার জন্য আপনাকে সাইন্সেস স্টুডেন্ট হওয়া লাগবে এমন কোন কথা নেই। অন্যদিকে আই টি কোম্পানিতে আপনি দেখবেন বেশিরভাগ নন সাইন্স স্টুডেন্ট জব করে। আবার এমন অনেকেই আছে যারা কম্পিউটার সাইন্সে পড়ালেখা করা অবস্থায়

ইয়ার ড্রপ করে আর পড়ালেখা করেনি। কিন্তু ভালো আইটি ফার্মে জব করছে। কারণ সে কাজ পারে।

তাহলে কি পড়ালেখা দরকার নেই? অবশ্যই আছে। কিন্তু আপনি সাইন্সের স্টুডেন্ট না হয়েও ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারবেন। আমি শুধু এটাই বোঝাতে চেয়েছি।

Web Designer salary in Bangladesh(ওয়েব ডিজাইনারের বেতন):

গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, ওয়েব ডিজাইনারের বেতন কত? যেহেতু ওয়েব ডিজাইন এর চাহিদা খুব বেশি। তাই অনলাইনের মাধ্যমেই আপনি প্রচুর পরিমাণে ওয়েব ডিজাইন আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে আপনি ওয়েব ডিজাইনের অনেক কাজ পাবেন। প্রতিমাসে অনলাইনে 500 ডলার থেকে 2000 টাকা ওয়েব ডিজাইন আয় হবে।

এখন ওয়েব ডিজাইন শেখার উপায় হিসেবে বিভিন্ন টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

ওয়েব ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট: অনেকেই আছে পড়তে ভালোবাসে। তারা ওয়েবসাইট থেকে ওয়েব ডিজাইন শিখতে চায়। তাদের মনে প্রশ্ন জাগে ওয়েব ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট কি?

ওয়েব ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট: w3school.

এছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটে আপনি ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাবেন।

ওয়েব ডিজাইন শিখতে কত দিন লাগবে?

এটা নির্ভর করবে আপনার উপর। আপনি কত তাড়াতাড়ি শিখতে পারছেন। অনেকে খুব দ্রুত শিখে ফেলেন। আবার অনেকের শিখতে একটু দেরি হয়। তবে এইচটিএমএল, সিএসএস মোটামুটি এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে শেখা হয়ে যায়। বুটস্ট্রাপ আরো একমাস। জাভাস্ক্রিপ্ট দুই মাস। রিয়েক্ট ১ মাস। এরপর আপনাকে প্রজেক্ট করতে হবে। মোটামুটি ভাবে চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে আপনার ওয়েব ডিজাইন শিখা হয়ে যাবে। আবার অনেকের তিন মাসেই হয়ে যায়।

কোথায় ওয়েব ডিজাইন কাজ পাবেন?

ওয়েব ডিজাইন করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে চেষ্টা করতে হবে। যেমন

ফাইবার,

আপওয়ার্ক,

পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি।

ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে সেখানেও কাজ পাওয়া যায়। দেশীয় কোম্পানিতে ওয়েব ডিজাইন এর চাহিদা রয়েছে। সেখানেও কাজ করতে পারেন। এজন্য চাকরি সম্পর্কিত বিভিন্ন ওয়েবসাইট পড়তে পারেন।

ওয়েব ডিজাইন কাজ পাওয়ার জন্য করণীয় কি?

অনলাইনে কাজ করার জন্য আপনি আসলে ওয়েব ডিজাইনার কিনা তা প্রমাণ করতে হবে। অনেক বায়ার আপনাকে এই প্রশ্নটিই করবে আপনার প্রজেক্ট দেখান। কিন্তু যদি আপনার কোন প্রজেক্টর না থাকে তখন আপনি কাজ পাবেন না। এজন্য আপনি যে প্রজেক্টগুলো করবেন তা গিটহাবে রাখতে পারেন। এছাড়া আপনার একটি পার্সোনাল পোর্টফোলিও থাকতে হবে। যেখানে আপনি কি কাজ করেন, বিভিন্ন প্রজেক্ট ইত্যাদি থাকবে। যখন বায়ার দেখতে চাইবে তখন আপনি আপনার পোর্টফোলিও অ্যাড্রেস দিয়ে দিতে পারেন। অর্থাৎ ক্লায়েন্টকে আপনার দক্ষতা প্রমাণ করে দিতে হবে। যদি পার্সোনাল পোর্টফোলিও বানাতে সমস্যা হয় তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে খুব সহজেই তার বানাতে পারবেন।

কোথায় শিখবেন ওয়েব ডিজাইন?

বর্তমানে অনেক আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে যারা ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। কিন্তু সবগুলোই ভাল না। আপনাকে যাচাই করতে হবে কোন কোম্পানি ভাল। এছাড়া সরকারিভাবে বিভিন্ন সময়ে সম্পূর্ণ ফ্রিতে আইটি ট্রেনিং দেওয়া হয়। এজন্য সরকারের বিভিন্ন ওয়েবসাইট আপনাকে নিয়মিত দেখতে হবে।

শেষ কথা,

ওয়েব ডিজাইন বর্তমান সময়ে খুব জনপ্রিয় এবং চাহিদা মূলক একটি কাজ। ওয়েব ডিজাইনের ভবিষ্যৎ এবং ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার ভালো। যদি আপনি ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারেন তাহলে আপনার পেছনে ফিরে তাকানো লাগবে না। আপনি দেশে বসেই বিভিন্ন কোম্পানিতে জব করতে পারবেন। ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে, আমরা বুঝিনা কখন কোনটা শিখতে হবে। এজন্য আমি ধাপগুলো বলে দিয়েছি। এই ধাপগুলো অবলম্বন করলে খুব সহজেই আপনারা ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারবেন। যদি কোন প্রশ্ন থাকে আমাকে করবেন আমি উত্তর দিব।

টেকনোলজি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পেতে ভিজিট করুন এখানে

7 thoughts on “ওয়েব ডিজাইন কি? কিভাবে ওয়েব ডিজাইনার হওয়া যায়”

  1. sir i need more support from you…sir i am totally new ………..let me know all the steps to be perfect web designer ……………….really i will be very grateful to you bro …..

    Reply
  2. supper sir you have done supper good job ………………this is the best way to learn how to be a perfect web designer …………..once again salute boss

    Reply

Leave a Comment